Description
চালের আটা
বরেন্দ্র এর নিজস্ব উৎপাদিত চাল থেকে তৈরী আটা। খাঁটি এবং ভেজালমুক্ত। যা থেকে বানানো সকল প্রকার খাবার অনেক সুস্বাদু হয়।
সাধারণত আমরা গমের আটা খেয়ে থাকি। এই আটাতেই তৈরি হয় রুটি। আর সেই রুটি দিয়ে তরকারি মেখে আমরা খেতে শুরু করে দিই। তবে গমের আটা বাদেও অনেক আটা হয়ে থাকে। এর মধ্যে জোয়ার, বাজরা, রাগি ইত্যাদি দানাশস্যের আটা খাওয়া হয় সম্ভব।
তবে এসব পেরিয়ে এখন চলে এসেছে চালের আটা (Rice Flour)। এই আটা খুব সহজেই মানুষ খেয়ে নিতে পারেন। এমনকী অনেক সমস্যাই এই আটার মাধ্যমে মিটে যেতে পারে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক এই আটার ঠিক কী কী গুণ রয়েছে । তাই চিন্তার কোনও অবকাশ অবশ্য নেই।
সেকেলে এই নাস্তা একালেও সমাদৃত । গ্রাম কিংবা শহর সবখানেই খাবার টেবিলে চালের আটার রুটির একটা আলাদা কদর আছে। বিভিন্ন উৎসবে আমরা চালের আটার রুটি , পিঠা , পুলি ইত্যাদি তৈরী করে থাকি।
১. অনেকের গমের আটাতে সমস্যা হয়। গমের আটাতে গ্লুটেন (Gluten) থাকে বলেই মূলত এই সমস্যা হয়। তবে চালের আটায় এই সমস্যা নেই। তাই নিদ্বির্ধায় এই আটা খাওয়া সম্ভব।
২. এই আটায় রয়েছে ভালো পরিমাণে ইনসলিউবল ফাইবার। এরফলে হমজতন্ত্র ভালো থাকে। এমনকী হজমের বহু সমস্যা মিটে যায়।
৩. এই আটায় রয়েছে ভালো পরিমাণে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন ডি আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পাকে।
৪. ১০০ গ্রাম চালের আটায় রয়েছে ৯.২ এম.জি কোলিন। এই কোলিন রক্তনালীতে কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও ফ্যাট তৈরিতে বাধা দেয়। এমনকী লিভারকে সুস্থ রাখতেও পারে এই আটা।
৫. এই আটাতে রয়েছে ভালো পরিমাণে জিঙ্ক (Zinc)। এই এই জিঙ্ক আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে পারে।
৬. এই আটা ত্বকের জন্যও খুব ভালো। তাই কোনও মানুষ চাইলে ত্বকের নানা সমস্যায় এই আটা বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
৭. এছাড়া অনেকে ফেসপ্যাক হিসাবেও এই আটা ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরে।
- যদিও ভাত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, কিন্তু চালের আটা প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ।
- চালের আটা হল পুষ্টির অন্যতম সস্তা উৎস এবং এতে গমের আটারও সব গুণ রয়েছে।