Description
আমের আচার
কাঁচা আমের সময়টা আচারপ্রেমীদের কাছে বেশি প্রিয়। কারণ এসময় নানা স্বাদের আচার তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। সেই আচার খাওয়া যায় দীর্ঘদিন ধরে। তেল আর বিভিন্ন রকম মসলা যোগ হয়ে তা আচারকে আরও বেশি সু্স্বাদু করে তোলে। এই যে আচার আমরা খাই, এটি কি উপকারী? নাকি কেবল স্বাদের কারণেই খেয়ে থাকি? শুধু স্বাদ নয়, আচার কিন্তু শরীরের জন্য অনেক উপকারও করে থাকে।
আচার খেতে কে না ভালোবাসি। আচার দেখলেই হয়তো আপনার খেতে হয়। আমের আচার রেসিপি বাংলা হলো একটি মুখরোচক এবং মজাদার খাবার। সেই সাথে এটি সিজন ছাড়া ও আমরা খেতে পারি আচার বানিয়ে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর আর কাঁচা আম পাওয়া যায় না।
আচারের উপকারিতা
- আচার তৈরি করার সময় তাতে তেল বা ভিনেগার মেশানো হয়। ফল বা সবজির আচার তৈরির ক্ষেত্রে তেল বা ভিনেগারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ল্যাকটিক, সাইট্রিক ও অ্যাসেটিক তৈরি করে। এই তিন অ্যাসিডই শরীরের পক্ষে ভালো। এই উপাদানগুলো শরীরের মধ্যে উপকারী মাইক্রোবসদের আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের অন্ত্রে কাজ করে এই মাইক্রোবস। যে কারণে আচার খেলে বাড়ে হজমশক্তি, মেটাবলিজম ভালো হয়। সেইসঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে- ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আচার খুবই ভাল। আচারের মধ্যে ক্যালোরি আর কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। যে কারণে তা হজমেও সাহায্য করে। রক্তশর্করাও রাখে নিয়ন্ত্রণে। আচার এবং যে কোনও সংরক্ষিত ফল, সবজি রক্তে HbA1c-এর মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তশর্করা।
- ওজন কমাতে- আচারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। যা ফ্যাটকে সহজেই ভেঙে দিতে পারে। আচার তৈরির সময় যে সব মশলা ব্যবহার করা হয় তা আমাদের যেমন হজমে সাহায্য করে তেমনই চর্বিও ভেঙে দেয় তাড়াতাড়ি। তাই ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে আচার খেতে বলা হয়। এতে মুখের স্বাদও ফেরে।
- গর্ভাবস্থায় আচার- গর্ভবতী মহিলারাও আচার খেতে পছন্দ করেন। বরং গর্ভাবস্থায় আচার খাওয়ার দিকে ঝোঁক বাড়ে। প্রেগন্যান্সিতে অনেকেই মর্নিং সিকনেসে ভোগেন। আচার খেলে সেই সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও আচার খিদে বাড়ায়, হরমোনের উদ্দীপনা বাড়াতেও সাহায্য করে।
- হজমের সমস্যায়- আচারের মধ্যে রয়েছে উপকারী প্রোবায়োটিক। যা আমাদের হজম করতে সাহায্য করে। থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাকটেরিয়া। তাই ডায়ারিয়া, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও কাজ করে আচার। যাঁরা নিয়মিত গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা আচার খেলে উপকার পাবেন।
- স্ট্রেস কমায়- মন ভাল রাখতেও দারুণ কাজ করে আচার। আর তাই নিয়মিত ভাবে আচার খেতে পারলে আমাদের মনও ভাল থাকে। উদ্বেগ কমে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। তাই আজ থেকেই আচার খাওয়া শুরু করুন। ফিরে পাবেন ছোটবেলা। ভাল থাকবে শরীর আর মন। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েচে তাঁদের বেশি আচার না খাওয়াই কিন্তু ভাল।