বাসমতি চাল

বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগের নিজ উৎপাদিত বাসমতী চাল

ভোজন রসিক বাঙ্গালির রসনা বিলাসে যে কয়টি খাবার বিখ্যাত তার মধ্যে কাচ্চি বিরিয়ানি, পোলাও, খিচুড়ী বিশেষভাবে উপরের স্থানে রয়েছে। এই খাবার গুলো তৈরির প্রধান উপকরণ হলো চাল। বিশেষ সুগন্ধিযুক্ত বাসমতি চাল হলো এই খাবার গুলোর প্রধান উপকরণ। যতগুলো চালের জাত বা প্রকরণ রয়েছে তার মধ্যে বাসমতি চাল হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশেষভাবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান সহ দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার প্রতিটি দিশে কম বেশি এই চাল উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই চালের প্রধান বৈশিষ্ঠে হলো লম্বা দানাদার এবং দবদবে সাদা। যদিও বাদামী ধরনের বসমতি চাল বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় তবুও আমরা দবদবে সাদা বাসমতি চাল দেখে অভ্যস্থ। বাসমতি একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ হলো সুগন্ধযুক্ত।

বড় বড় হোটেলে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই বাসমতী চাল ব্যবহার করা হয়। এই ধানের চাল মূলত বিরিয়ানি, খিচুড়ি, পোলাও বা কাচ্চি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।

এই চাল সুগন্ধ যুক্ত ও লম্বা হয়ে থাকে

বাসমতি গ্লুটেন-মুক্ত এবং চর্বি কম। আটটি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড থাকার পাশাপাশি, এটি সোডিয়াম এবং কোলেস্টেরল-মুক্ত খুব কম।

বাসমতি চালর উপকারিতা

কানাডিয়ান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন-এর মতে, এই চালের একটি “মাঝারি” গ্লাইসমিক সূচক (৫৬ থেকে ৬৯ এর মধ্যে) রয়েছে, এটি একটি গ্লাইসমিক সূচক ৮৯ এর সাথে নিয়মিত সাদা চালের বিপীরত কাজ করে, যার ফলে ডায়াবেটিসের জন্য এটি আরও উপযুক্ত হয় যা অন্যান্য শস্য ও পণ্যগুলি তথা সাদা আটা বা ময়দার তুলনায় অধিকতর উপযোগি। আর যদি শরীরের প্রসঙ্গে আসেন তাহলে বলতেই হয় কোনও দিক থেকেই এই চাল ক্ষতিকারক নয়। বিশেষত, ব্রউন বাসমতি চাল তো বেশি স্বাস্থ্যকর। তাহলে এবার থেকে অপূর্ব সুন্দরি এই চালটি যখন গরম গরম মটন কারির সঙ্গে আপনার সামনে পরিবেশন করা হবে তখন নিশ্চন্তে খাবেন, প্রয়োজনে কবজি ডুবিয়ে খাবেন! সাধারণ চালের থেকে কী এই চাল বেশি স্বাস্থ্যকর? একদমই! প্রতিদিন আমরা যে রিফাইন চালের ভাত খেয়ে থাকি, পুষ্টিগুণের বিচারে তার থেকে এই চাল সবদিক থেকে এগিয়ে। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, অল্প পরিমাণে ফ্য়াট, ভিটামিন, ফাইবার এবং মিনারেল। আর একথা তো বলে দেওয়ার নয় যে এইসব উপাদানগুলি শরীর ভালো রাখতে সাহায্য় করে। এছাড়াও এই  চালের আরও অনেক উপকারিতা আছে।